বরুনা ও অসি নদীর সম্গমস্থলে বরাণসী অবস্তিত। পৌরাণিক মতে বিশ্বের প্রাচীনতম
শহর বারাণসী শহর পত্তন করেন সুহোত্রের পুত্র কাস্য। তাই বারাণসীর অপর নাম কাশী।
কীভাবে যাবেন:
ট্রেন: দিল্লি, আগ্রা, লক্ষ্ণৌ, মুম্বাই ও কলকাতা সহ একাধিক শহর থেকেবারাণসী পৌঁছানোরসবচেয়ে সহজ উপায় ট্রেন। বারাণসী জংশনের স্টেশন কোড: বি এস বি। এখানে ক্লিক করুন বরাণসী আসার ও যাওয়ার ট্রেনের লাইভ
লিস্ট পাবেন।
বাসে: লখনউ (৮ ঘন্টা), এলাহাবাদ (৩ ঘন্টা), গোরাক্ষ পুর (৮ ঘন্টা) এবং কানপুর (৯ ঘন্টা) থেকে রাজ্য সরকার দ্বারা চালানো বাস আছে। বাসের সিট বুক করতে এখানে ক্লিক করুন।
প্লেনে: বারাণসী বিমানবন্দর শহরের কেন্দ্র থেকে ২৫ কিমি দূরে অবস্থিত। দিল্লি, মুম্বাই, কলকাতা, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ, খাজুরাহ ও বিশাখাপত্তনমথেকে প্রতিদিন ছারে এয়ার ইন্ডিয়া, জেট কনেক্ট, স্পেস জেট এবং ইন্ডিগো। বিমানের সিট বুক করতে এখানে ক্লিক করুন।
বাসে: লখনউ (৮ ঘন্টা), এলাহাবাদ (৩ ঘন্টা), গোরাক্ষ পুর (৮ ঘন্টা) এবং কানপুর (৯ ঘন্টা) থেকে রাজ্য সরকার দ্বারা চালানো বাস আছে। বাসের সিট বুক করতে এখানে ক্লিক করুন।
প্লেনে: বারাণসী বিমানবন্দর শহরের কেন্দ্র থেকে ২৫ কিমি দূরে অবস্থিত। দিল্লি, মুম্বাই, কলকাতা, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ, খাজুরাহ ও বিশাখাপত্তনমথেকে প্রতিদিন ছারে এয়ার ইন্ডিয়া, জেট কনেক্ট, স্পেস জেট এবং ইন্ডিগো। বিমানের সিট বুক করতে এখানে ক্লিক করুন।
কোথায় থাকবেন:
পযর্টক ও তীর্থযাত্রীদের প্রিয় শহর বরাণসীতে পাবেন অতি সাধারণ লজ বা ধর্মশালা
থেকে মাঝারি ও ভালো মানের হোটেল। ইউ পি ট্যুরিজমের রাহী ট্যুরিস্ট বাংলো(২২০৮৪১৩/৫৪৫) ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনের কাছে প্যারেড কঠিতে।
পান্ডে ঘাটে অতি সাধারণ মানের বিষ্ণু রেস্ট হাউস (২৪৫০২০৬) এবং কালিকা গলিতে যোগি লজ (২৩৯২৫৮৮) এছাড়া এখানে
ক্লিক করুন বরাণসী হোটেলের লিস্ট
পাবেন।
কী দেখবেন:
বারাণসীতে আপনার প্রথম দিন কাটবে স্থানীয় মন্দির এবং গঙ্গার ঘাটগুলো ঘুরে। দ্বিতীয় দিন কাটবে বারাণসীকে কেন্দ্র করে অটো বা গাড়িতে দুটি পর্যায়ে সকাল ও দুপুরে খাওয়ার পর বেরিয়ে নেবেন রামনগর ও সারনাথ। তৃতীয় দিন গাড়িতে ঘুরবেন চুনার ও বিন্ধ্যাচল। বারাণসীর ম্যাপ দেখতে click here.
কী দেখবেন:
বারাণসীতে আপনার প্রথম দিন কাটবে স্থানীয় মন্দির এবং গঙ্গার ঘাটগুলো ঘুরে। দ্বিতীয় দিন কাটবে বারাণসীকে কেন্দ্র করে অটো বা গাড়িতে দুটি পর্যায়ে সকাল ও দুপুরে খাওয়ার পর বেরিয়ে নেবেন রামনগর ও সারনাথ। তৃতীয় দিন গাড়িতে ঘুরবেন চুনার ও বিন্ধ্যাচল। বারাণসীর ম্যাপ দেখতে click here.
![]() |
কাশীবিশ্বনাথ মন্দির |
![]() |
অন্নপূর্ণা মন্দির |
৩. দূর্গা মন্দির: নগরী শেয়লিতে গড়া লাল রঙের মন্দিরটি অষ্টাদশ শতকের। গর্ভাগৃহে দেবীর বিগ্রহ খুব জাগ্রত। দূর্গা মন্দির খোলা সময়: সকাল ৭.০০ টা থেকে রাত্রি ৮.০০ টা পযন্ত।
![]() |
দূর্গা মন্দির |
![]() |
তুলসী মানস মন্দির |
৪. তুলসী মানস মন্দির: দূর্গা মন্দির থেকে আরও কিছুটা এগিয়ে বা হাতে পড়ে সাদা রঙের সুবিশাল তুলসী মানস মন্দির। মন্দিরে শ্রীরামের বিগ্রহ ছাড়াও আকর্ষনীয় এখানকার দেওয়াল, যেখানে খোদাই করা আছে রামচরিতমানসের বিভিন্ন পদ। মন্দির খোলা সময়: সকাল ৫.৩০ থেকে ও ৩.৩০ থেকে রাত্রি ৯.০০ টা পযন্ত।
![]() |
ভারত কলা ভাবন |
![]() |
নিউ বিশ্বনাথ মন্দির |
- সংকটমোচন মন্দির
- হুন্ডিরাজ গণেশ মন্দির
- বাবু শিবপ্রসাদ গুপ্ত নির্মিত ভারতমাতা মন্দির
- কালভৈরব মন্দির
- বিশালাক্ষী মন্দির
- বিখ্যাত মানমন্দির
- সংকটা দেবীর মন্দির।
রিকশ করে সব কটা মন্দির দর্শন করতে পারেন।
৬. ঘাট: বারানসীর মুখ্য আকর্সন গঙ্গা পারে আশির অধিক
সুদৃশ্য ঘাটের সারি। ভোরবেলা সূর্য্যোদয়ের সময় হাজারো ভক্তের পুণ্যস্নান ও
মাঙ্গলিক কর্মে জেগে ওঠে গঙ্গার ঘাট সহ সমগ্র বারাণসী। বারাণসীর ঘাটের স্বর্গীয় শোভা উপভোগ করতে হলে
সকালের দিকে নৌকা ভাড়া করে দেখে নিন -
- দশাশ্বমেধ ঘাট,
- মনিকর্নিকা ঘাট,
- হরিশ্চন্দ্র ঘাট,
- তুলসী ঘাট,
- আসি ঘাট,
- মানমন্দির ঘাট,
- কেদার ঘাট,
- পঞ্চগঙ্গা ঘাট, প্রভৃতি।
৭. রামনগর ফোর্ট ও মিউজিয়াম: গঙ্গার অপর পারে বারানসীর অতীত রাজাদের দুর্গ তথা প্রাসাদের
একাংশে গড়ে
উঠেছে মিউজিয়াম। এখানে দেখবেন -
![]() |
রামনগর ফোর্ট ও মিউজিয়াম |
- রাজাদের ব্যবহত বিভিন্ন আমলের ঘোড়ার গাড়ি
- পালকি
- চৌদোলা
- কারুকার্যমন্ডিত হাওদা
- পোশাক পরিচ্ছদ
- অভিনব ঘড়ি
- প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র
- দুর্গের একটা অংশে দেখবেন রামনগরের বিখ্যাত রামলীলার কিছু দৃশ্যের ফটোগ্রাফ।
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি গ্রীষ্মে হেঁটে পন্টুন
ব্রিজ পেরিয়ে বা ফেরি নৌকায় (বছরভর) রামনগর যাওয়া যায়।মিউজিয়াম খোলা থাকে সকাল
৯টা থেকে ১২টা এবং ২টা থেকে ৫.৩০ মি। রামনগরের ম্যাপ দেখতে click here.
![]() |
সারনাথ |
- সারঙ্গনাথেরশ্বর বা সঙ্ঘেশ্বর মহাদেব মন্দির
- চৌখন্ডী স্তূপ: সারনাথের প্রবেশের পথেই বাদিকে এই বিশাল স্তূপকে ছোটখাটো টিলা বললেও অত্যুক্তি হায় না। সম্রাট অশোক ২৩৪ খ্রি: পূর্বাব্দে এখানে এসেছিলেন। উনি এই সুবিশাল স্তূপটি নির্মাণ করান।
- ধামেক স্তূপ: সারনাথের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দ্রষ্টব্য চোঙ্গাকৃতি সাড়ে তেতাল্লিশ মিটার উচু ধামেক স্তূপ। ভূমির কাছে এই স্তূপের ব্যাস ২৮ মিটার এবং নিচের অংশে দেখবেন গুপ্তযুগের স্থাপত্য নিদর্শন।
- মূলগন্ধকুটি বিহার: সারনাথের অপর আকর্ষণ মহাবোধি সোসাইটি নির্মিত এই আধুনিক বুদ্ধমন্দির। এখানে দেখবেন জাপানের অগ্রণী শিল্পী কসেত্সু নোসুর আঁকা অসাধারণ কিছু ফ্রেস্কো। আদিমুলগন্ধকুটি বিহারের ধাংসাবশেষ কিছু দূরে।
- সারনাথ মিউজিয়াম: এই সরকারি সংগ্রহশালায় অসংখ্য বুদ্ধ ও বধিসত্ত্বের মূর্তির সংগ্রহ বিস্ময় উদ্রেক করে। এখানে প্রত্যক্ষ করুন বৌদ্ধ শিল্প ও ভাস্কর্যের শ্রেষ্ঠ নিদর্শনগুলো এবং অশোকস্তম্ভের ( আমাদের জাতীয় প্রতীক ) শীর্ষদেশের চারটে পরস্পর সংলগ্ন সিংহমূর্তি। শুক্রবার মিউজিয়াম বন্ধ থাকে। অন্য দিন খোলা থাকে সকাল ১০টা থেকে ৫টা। এই পবিত্র ভূমিতে একরাত কাটাতে চাইলে পাবেন পর্যটন বিভাগের-রাহী ট্যুরিস্ট বাংলো (০৫৮২-২৫৯৫৯৬৫)। থাকতে পারেন জৈন পেয়ং গেস্ট হাউসে (২৫৯৫৬২১) বা আগরওয়াল পেয়ং গেস্ট হাউসে (২২১০০৭)। সরনাথের ম্যাপ দেখতে click here.
চুনার দুর্গ |
১০. বিন্ধ্যাচল: বারাণসী থেকে ৭০ কিমি দুরে ৫১ সতীপীঠের অন্যতম বিন্ধ্যাচলের প্রধান
দ্রষ্টব্য বিন্ধ্যাবাসিনী মন্দির। এই
স্থানে সতীর বাম পায়ের আঙুল পড়েছিল। পুরানমতে এই সেই স্থান যেখানে দেবী স্বহস্তে
শুম্ভ নিশুম্ভকে বধ
১১. অষ্টভুজা মন্দির: বিন্ধ্যবাসিনী মন্দির থেকে ৩ কিমি দুরে বিন্ধ্যপবর্তের ওপর দেবী অষ্টভুজা (প্রকৃতপক্ষে
দূর্গা) মন্দির। পুরানমতে যশোদার
গর্ভজাত মহামায়াকে কংস দেবকীর অষ্টমগর্ভের সন্তান ভেবে আছাড় মারতে উদ্যত হলে, মহাহায়া আকাশবাণী শুনিয়ে
অদৃশ্য হয়ে যান। এর পর বর্তমান মন্দির স্থলে আবিভূত হয়ে ভগবতী দূর্গা রূপে এখানে
সদা বিরাজমান। সংকীর্ণ গুহাপথে ভেতরে গিয়ে মূর্তি দর্শন করতে হয়।
১২. কালীখোহ: বিন্ধ্যপবর্তের ওপরে একটা গুহার মধ্যে
মাকালির জাগ্রত মুখ কালীখোহ নাম প্রসিদ্ধ। পূরণমতে
রাক্ষসদের হাতে দেবতাদের লাঞ্ছিত হবার কথা শুনে এই স্থলে গৌরবর্ণা পার্বতী এত
ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠেন যে ওনার স্বর্ণ অঙ্গ কাজলের মতো কালো হয়ে যায় (দেবীর নাম তখন
থেকে কালী)।এখানেও দেবীর নাম কালী, চন্ডী ও চামুন্ডা। ধর্মপ্রাণ
ভক্তরা পার্বত্যপথে বিন্ধ্যাবাসিনী অষ্টভুজা কালীখোহের মধ্যে
মহাত্রিকোশ পরিক্রমা সম্পন্ন করেন।
এছাড়াও বিন্ধ্যাচলে দর্শন করুন-
- সীতাকুণ্ড (একমতে বনবাসকালে সীতা এখনে স্নান করেছিলেন, ভিন্নমতে সীতার জলতৃষ্ণা মেটাতে লক্ষ্মণ বান মেরে এই কুণ্ড সৃষ্টি করেন)
- তারকেশ্বরনাথ মন্দির
- বুরনাথের মন্দির
- নারদ ঘাট
- গেরুয়াতালাও
- ক্ষেত্রপাল মন্দির
- কামাখ্যাদেবী মন্দির
- শিবখোহ
- রাবণের তপস্থল
- সক্ষীগোপল মন্দির
- সংকটমোচন হনুমান মন্দির
প্রয়োজনীয় তথ্য ও ফোন
নাম্বার-
শিবপ্রসাদ গুপ্ত হসপিটাল
(২৩৩৩৭২৩), রামকৃষ্ণমিশন হসপিটাল (২৩২১৭২৭), মাতা আনান্দময়ী হসপিটাল (২৩১৩০১৩), মারোয়ারী হসপিটাল, ডি, এম-২৫০৮৫৮৫,
এস,পি-২৫০২৬৪৪, ট্যুরিস্ট পুলিশ ২৫০৬৬৭০, ইউ, পি
ট্যুরিজম অফিস-২২০৮১৬২/ ২২০৬৬৩৮, বাসস্ট্যান্ড-২২০৩৪৭৬,
বারাণসী রেলওয়ে স্টেশন-১৩১, ১৩২, ১৩৩, মোগলসরাই জংশন-২৫৫৭০৩।
একসাথে সব তথ্য,খুব কাজে দিবে৷
ReplyDeleteবারাণসীর ভ্রমণের উপযোগি তত্য
ReplyDeleteদারুন
ReplyDeleteদারুন
উপকৃত হলাম
ReplyDeleteব্যসকাশি তে কি আছে
ReplyDelete